ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫ , ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পবায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আগাম শীতকালীন সবজির বীজ ও সার বিতরণ

মাসুদ রানা রাব্বানী
আপডেট সময় : ২০২৫-১০-০৬ ২১:০৪:২৭
পবায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আগাম শীতকালীন সবজির বীজ ও সার বিতরণ পবায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আগাম শীতকালীন সবজির বীজ ও সার বিতরণ


মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহীর পবা উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে আগাম শীতকালীন সবজির বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ।



উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ বলেন, কৃষিই বাংলাদেশের প্রাণ। সরকার কৃষকদের পাশে আছে এবং থাকবে। আগাম সবজি চাষ এখন অত্যন্ত লাভজনক একটি পদ্ধতি। এতে একদিকে যেমন কৃষকের আর্থিক উন্নতি ঘটছে, অন্যদিকে স্থানীয় বাজারেও সবজির সরবরাহ বাড়ছে। এই প্রণোদনা আগাম শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে তাদের আয় বাড়াতে সহায়তা করবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এম. এ. মান্নান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।


তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় মোট ৬ হাজার ১৬০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য প্রণোদনা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পবা উপজেলার ১১৭০ জন কৃষককে বিনামূল্যে আগাম সবজির বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শসা চাষের জন্য ৪০০ জন, মিষ্টি কুমড়ার জন্য ২২০ জন, বেগুনের জন্য ১৭০ জন, লাউয়ের জন্য ১৩০ জন এবং বসতবাড়িতে শাকসবজি চাষের জন্য ২৫০ জন কৃষককে এই প্রণোদনা দেওয়া হবে।


তিনি উল্লেখ করেন, আগাম শীতকালীন সবজি চাষ কৃষকদের জন্য এখন আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। মৌসুমের আগে ফসল তুলতে পারলে কৃষকেরা ভালো দাম পান। প্রণোদনা হাতে পেয়ে পবা উপজেলার কুমড়াপুকুর এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান তার উচ্ছ্ধসঢ়;বাস প্রকাশ করে বলেন, প্রতিবার আমাদের বীজ আর সার কিনতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এবার সরকার থেকে বিনামূল্যে সহায়তা পাওয়ায় সেই খরচটা বেঁচে গেল। আগাম লাউ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি সময়মতো বাজারে তুলতে পারি, তাহলে ভালো দাম পাব।


নওহাটা পৌরসভার মাঝিগ্রাম এলাকার কৃষক ইনতাজ আলী বলেন, আগে সবজি চাষে লোকসান হতো, কারণ সার আর বীজের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এবার এই প্রণোদনা পেয়ে আমরা নতুন করে আশাবাদী হয়েছি। আগাম শসা লাগানোর কাজ শুরু করেছি। সময় মতো ফসল তুলতে পারলে পরিবারে স্বচ্ছলতা আসবে। প্রণোদনা হাতে পেয়ে কৃষকরা সরকারি এ সহায়তা পেয়ে আগাম সবজি চাষে উৎসাহিত হয়েছেন বলে জানান এবং সময়মতো বাজারে সবজি তুলতে পারলে ভালো দাম পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুর রাজ্জাক।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার তন্ময় কুমার সরকার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন দেওয়ান, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক কৃষক-কৃষাণী।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ